বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিক আইডি‘র কথা বলে নিয়ম বহির্ভূত টাকা আদায়, শিক্ষার্থী আইডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়- এরকম অসংখ্য অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে গত রবিবার থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিল।
বুধবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে আন্দোলন করতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে লাইভ করতে থাকে তা দেখে প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর ছিদ্দিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, দুপুর ২টার দিকে জ্ঞান হারানো অবস্থায় একজন শিক্ষককে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উনি স্ট্রোক করেছিলেন। বর্তমানে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ ইনকিলাবকে জানান, শিক্ষার্থীরা আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছিল স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত কি হয়েছে জানার জন্য।
এ বিষয়ে গতকালই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করা হয়েছে। আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।