ভাগ্য বদলের আশায় ১২ বছর আগে লেবাননে পাড়ি জমিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ নিজাম। প্রতিদিনের মতো শনিবারও (২ নভেম্বর) ছিল তার কর্মব্যস্ত দিন।
কাজে যাওয়ার পথে সেদিন বিকেলে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি কফিশফে ঢুকেছিলেন এই বাংলাদেশি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কফিশপে অবস্থানকালেই সেখানে বিমান হামলায় চালায় ইসরায়েল। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এই রেমিট্যান্সযোদ্ধা।
নিহত মোহাম্মদ নিজামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খারেরা এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শনিবারও লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় ইসলায়েল। এতে অনেকেই হতাহত হন। স্থানীয় সময় বিকালে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ভবনের নিচে থাকা কফিশপে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে নিজামেরও মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি লেবাননে কর্মরত মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নামে আমাদের এক প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধা মারা গেছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ২৩ মিনিটে বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি কফিশপে অবস্থানকালে বিমান হামলায় আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
দূতাবাস কর্তৃপক্ষের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানানো হয় গভীর সমবেদনা।
বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, নিজামের মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের হিমঘরে আছে। তার মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।