দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য করা কুইক রেন্টাল নিয়ে প্রশ্ন বহুদিনের। সিপিডির গবেষণায় গত ১৫ বছরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে নয়ছয় হয়েছে, ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
অথচ এসব প্রকল্প নিয়ে তোলা যাবে না প্রশ্ন; এমন আইন করে আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কুইক রেন্টালের দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ই নভেম্বর) হাইকোর্ট রায়ে বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে করা আইন অবৈধ। ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে একক ব্যক্তিকে দেয়া ক্ষমতা গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে পারে না, এটি সংবিধানের পরিপন্থি।
হাইকোর্ট আরও বলেন, লুটপাটকে আইনি ভিত্তি দিতেই এই আইনটি করে আওয়ামী লীগ। সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক কুইক রেন্টালগুলোর চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।
আদালত বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত যেন উৎপাদনে যেতে পারে সে বিষয়ে পক্ষে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ রায়ের ফলে ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রহিত করা হলো। এখন সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।
এর আগে গত ৭ই নভেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ই নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।