এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতরকে আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এদিন বাজার তদারকিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় আয়োজিত ওই সভায় অন্যদের মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণা) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে সংশ্লিষ্টদের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।
মতবিনিময় সভায় ভোক্তার ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপ বাজার সিন্ডিকেটের মূল হোতা। আমরা যেখানেই হাত দিচ্ছি, সেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকের সামনে মিডিয়া-ক্যামেরা নিয়ে গেলেও অনেক অনিয়ম বন্ধ করতে পারিনি। আমরা তোমাদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করতে চাই।
এদিন সভায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৯টি সুপারিশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা। সুপারিশগুলো হলো- বিপ্লবী ছাত্র-জনতার টিম করে প্রতিটি শহর, জেলা ও উপজেলা ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় বাজার মনিটরিং করা।
তবে তারা কাউকে জরিমানা করতে পারবে না এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না; প্রতিটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা; সব দোকানে মূল্যতালিকা টাঙানো; প্রতিটি বিক্রেতার নিত্যপণ্য ক্রয়ের রসিদ রাখা;
কেউ বাজার, রাস্তা, দোকান দখল করে ব্যবসা করলে তাকে উৎখাত করা; রাস্তায় চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা।