বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের কিছু দুষ্কৃতকারী নিজেদের রক্ষা করতে ‘নব্য’ বিএনপি হতে চেষ্টা করছেন।
দুর্নীতি, অনাচার, লুটপাট আর মানুষের ওপর অত্যাচারকে আড়াল করতে তারা এই কৌশল নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আমিনুল হক।
আমিনুল হক বলেন, তাদের চক্রান্তের বিষয়ে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী যাতে দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার রাজধানীর পল্লবী এলাকার ১১নং ওয়ার্ডে নৈরাজ্যবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত পথসভায় আমিনুল হক বলেন, এই আওয়ামী লীগ আজ দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত দল।
ওই দলটির নেতাকর্মীদেরও মানুষ এখন চরম ঘৃণা করে। তারা হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে তারা জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছ, দখল করেছে, দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে এখন থেকে দেশে আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না, দখল চলবে না, লুট করা চলবে না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের জুলুম নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ আজ মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। দেশের বীর ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে পালিয়েছে।
দেশের জনগণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা, যে চাওয়া সেটা পূরণে বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ বদ্ধপরিকর। এটাই এখন তাদের দায়িত্ব।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, এখন যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাহায্য করা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। এই সরকারকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব।
কারণ, দেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচার আসতে দেব না। দেশের জনগণকে নিয়ে একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি করব আমরা। নতুন দিগন্তের সূচনা করা হবে এবার।
আমিনুল হক আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিগত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন তারা। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের পাশাপাশি ভোটের অধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা ওই সংগ্রাম করছেন।
সেই লক্ষ্যে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তবে এখনো দেশে পরাজিত অশুভ শক্তি এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর রয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করছে, সহিংসতা করছে, লুটপাট করছে, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন শুরু করে দেশকে একটি বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।
সেখানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ওইসব দুষ্কৃতকারী এসব অপকর্ম করছে। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এদের দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। তাদের ধরে পুলিশ অথবা সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করবেন। তবে নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না।
তিনি বলেন, পুলিশ এ দেশেরই সন্তান। তারা আমাদের ভাই। সব পুলিশ খারাপ না। প্রশাসনের সবাই খারাপ না। যারা দেশের মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে, অন্যায় করেছে তাদের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সভায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ মাহনগর উত্তর বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।