হাঁসের ভুনা মাংস, চাপাটি আর চিতই পিঠার নাম শুনলে জিভে পানি আসে না—এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন। এসব খেতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ এসে হাজির হন রাজধানীর পূর্বাচলের ১ ও ১২ নম্বর সেক্টরে। তবে এখানকার পিটার হাঁস নামের দোকানের হাঁসের মাংস ভোজনরসিকদের খুবই পছন্দ।
জানা গেছে, পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টর শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন নীলা মার্কেট এলাকা এবং এর বিপরীতে ১২ নম্বর সেক্টরে সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক হাঁসের ভুনা মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়।
এলাকা ঘুর দেখা গেছে, মাটির চুলায় লাকড়ি দিয়ে হাঁস ভুনা হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে দেশি মুরগি, খাসি ও গরুর মাংস। যদিও ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ হাঁস ভুনা। এর সঙ্গে কেউ চাপাটি, চিতই পিঠা, রুমালী রুটি, আটার রুটি নিচ্ছেন। এসব দোকানের বাবুর্চিদের অধিকাংশই নারী। এখানকার খাবারের দামও হাতের নাগালে। হাঁসের মাংস ২৫০, গরু ভুনা ৩০০, দেশি মুরগি ৩০০ টাকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাপাটি ১৫, চিতই পিঠা ১০, রুমালী রুটি ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকা থেকে হাঁস ভুনা আর চাপটি খেতে আসা অনিতা রানী দাস কালবেলাকে বলেন, প্রায় প্রতি সপ্তাহে সন্তানদের নিয়ে এখানে চলে আসি। এখানকার পরিবেশ খুবই মনোরম। দোকানের নাম পিটার হাঁস কেন—জানতে চাইলে দোকানি মো. রাকিব হাসান কালবেলাকে বলেন, বছর দেড়েক আগে দেশের কূটনৈতিক পাড়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গনে পিটার হাঁস নামটি ব্যাপক আলোচনায় আসে।
তখন মনে হলো যেহেতু পিঠা এবং হাঁসের মাংসের দোকান দিচ্ছি, তাই এটার নাম পিটার হাঁস রাখব। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা আসেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। এ দিনগুলোতে আমাদের বিক্রি বেশ ভালো হয়। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা বিক্রি হয়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়।
পিটার হাঁসের রাঁধুনি মোসাম্মৎ সাহিদা আক্তার বলেন, আমাদের রান্নাটা একটু ব্যতিক্রম। প্রতিদিন প্রায় ৪০টি হাঁস রান্না করি। কাস্টমার এলে চাপটি, চিতই পিঠা, রুমালী রুটি, আটার রুটি এসব তৈরি করে দিই।