আগের স্বামী কানাডাপ্রবাসী আব্রাহামকে ডিভোর্স না দিয়ে চাচাতো ভাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভকে বিয়ে করেন ইসরাত জাহান ইভা। কয়েকদিন আগে রাজধানী ঢাকায়ে গোপনে তাদের বিয়ের বিষয়টি ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা আব্রাহামের বাবাকে জানাতে যান সৌরভ। বিষয়টি জানতে পেরে বাসায় ডেকে সৌরভকে হত্যা করেন চাচা ইলিয়াস আলী ও তার পরিবার। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানান ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁইয়া।
পুলিশ সুপার বলেন, চাচা ইলিয়াস আলীর মেয়ে ইভার সঙ্গে প্রেম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভের। কিন্তু ইভা ৩ বছর আগেও বিয়ে করেন কানাডাপ্রবাসী আব্রাহাম নামের এক ব্যক্তিকে। আব্রাহামের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টিও মেনে নিতে পারেননি ইভার বাবা ইলিয়াস। তবে সেই স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে চাচাতো ভাই সৌরভকে আবারও বিয়ে করেন ইভা। কিছু দিন আগে ঢাকায় গোপনে বিয়ে করেন ইভা ও সৌরভ। আর এই বিয়ের পরেই প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয় ইভার পরিবার।
পরে গত ১ জুন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসে সৌরভ। ইভার ভাই তাকে কল দিয়ে গোহাইলকান্দি এলাকার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে ইলিয়াস এবং তার শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক মিলে প্রথমে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাথরুমে রেখে দেয়া হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে তার দেহ কয়েক টুকরো করা হয়।
পরবর্তীতে, মরদেহ লুকানোর জন্য ময়মসিংহের গাঙ্গিনারপার এলাকা থেকে একটি নতুন লাগেজ কিনে নিয়ে আসেন তারা। লাগেজের দোকানের সিসিটিভি দুটেজ দেখেই মূলত খুনের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এরপর পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে ঢাকা থেকে ইলিয়াসের শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুককে গ্রেফতার করা হয়, এবং পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ধোবাউড়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিহত সৌরভের চাচা ইলিয়সকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাইভেট কার চালক হান্নানকেও পরে আটক করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গত ১২ মে সৌরভের সাথে ইভার বিয়ের পর গত ১৬ মে তাকে কানাডায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্টুডেন্ট ভিসায় তিনি কানাডা গিয়েছেন বলেও জানানো হয়।