চাঁদপুর শহরের ব্যাংককলোনি এলাকায় চিরকুট লিখে মো. সালাউদ্দিন মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে মতলব উত্তর উপজেলায় শাহাদাত হোসেন প্রধান (২৭) নামের এক যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে শহরের ব্যাংককলোনি আনোয়ার হোসেন জেটের বাড়িতে সালাউদ্দিন আত্মহত্যা করে। আর সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নাউরী গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শাহাদাতের মৃত্যু হয়।
সালাউদ্দিন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে আনোয়ার হোসেন জেটের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় কর্মী।
এদিকে, সালাউদ্দিন আত্মহত্যার আগে চিরকুটে কাউকে দায়ী না করে নিজের আত্মহত্যার কারণ লিখেছেন। তার ক্ষোভ ছিল অর্থ ও ভালোবাসার অভাব।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে সালাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত শাহাদাত মতলব উত্তর উপজেলার নাউরী গ্রামের প্রধান বাড়ির জালাল প্রধানের ছেলে। দুই সন্তানের জনক শাহাদাত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
শাহাদাতের ছোট বোন সুমাইয়া জানান, ভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে আমি দেখে চিৎকার দেই। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহাদাত প্রধানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।