দেশের শীর্ষস্থানীয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের সাইফুল আলম মাসুদ প্রতিষ্ঠিত এস আলম গ্রুপের কালো টাকা অবৈধভাবে সাদা করার দায়ে ফেঁসে গেছেন এক অতিরিক্ত কমিশনারসহ তিন আয়কর কর্মকর্তা। তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চট্রগ্রামের কর অঞ্চল-১ এর করদাতা এস আলম গ্রুপ। আইন উপেক্ষা করে এই গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে আসছিলেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে এনবিআর।
সেই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি করা হলে তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে কর-কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এর আগে বায়োফার্মাকে সুবিধা দেয়া কর্মকর্তার বিষয়ে বিভাগীয় মামলা শুরু হলেও স্বপদে বহাল রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিক ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এছাড়াও প্রশাসনের সহায়তায় দখল করেছিল বেশ কয়েকটি ব্যাংক। তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সব ব্যাংকেই বিনিয়োগের নামে চালানো হয়েছে অবাধ লুটতরাজ।
নামে বেনামে ঋণের আড়ালে বের করে নেয়া হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এসব টাকার বড় অংশই বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। অবশিষ্ট টাকাকে কর বিভাগের যোগসাজশে সাদা করে নিয়েছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপ।